- Advertisement -
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে, এক ধরনের আত্ম- কর্মসংস্থান। যার মানে হচ্ছে, অন্য জনের কাজ করার পরিবর্তে স্বাধীনভাবে নিজের কাজ করা।
সহজ করে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং এর মানে হচ্ছে যে, কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি অথবা ব্যক্তির জন্য একচেটিয়া হয়ে কাজ না করে, নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করার সুবিধা।
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যেমে টাকা আয় করার চিন্তা করে থাকেন। তাহলে, অবশ্যই আপনার মাথায় এই প্রশ্ন এসেছে যে, ফ্রিল্যান্সিং শিখবো কিভাবে? যা বর্তমানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি প্রশ্ন?
ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি এ বিষয়ে আপনারা কম বেশি সবাই জানেন। কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? ২০২৩ সালে এসে ও এ বিষয়ে আপনারা অনেকেই এখনো অন্ধকারে রয়েছেন।

গত ৫-৬ বছর যাবত টেলিভিশন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এমনকি সব জায়গায় স্পেশাল টপিক হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং, ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন জব।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানার আগ্রহ মানুষের বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা মহামারী সময় যখন মানুষ ঘরে বন্দি অবস্থায় ছিলো সে সময় থেকে। সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার।
মানুষের মনে তখন প্রশ্ন ছিলো ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? কোথায় শিখব?
ফ্রিল্যান্সিং করে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে একথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। যার ফলে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আমাদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। আমাদের সবার মাথায় এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে যে,
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারব, কেউ আবার ফ্রিল্যান্সিং শেখা নিয়ে বই লিখে ফেলছেন। যে বই পড়ে অনেকে আবার ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বর্তমানে মানুষ প্রাকটিক্যাল আর পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে পার্থক্যটা প্রায়ই ভুলে যাচ্ছেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখার উপায়
সত্যিই যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশাই কাজ করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে। যেমন, এখানে কি ধরনের কাজ করা হয়, কিভাবে করতে হয়, এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি, সব বিষয়ে জেনে তারপর কাজ শুরু করতে হবে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে পেতে চান তাহলে, আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়?
সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং বলতে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার স্বাধীনতাকে বোঝায়, যেখানে কোন প্রকার সিভি জমা দিতে হয় না। এমনকি নির্ধারিত কোন সময় দেওয়া হয় না। অর্থাৎ “নিজের বস নিজেই ”
ফ্রিল্যান্সিং মূলত কাকে বলে এটা বোঝানোর জন্য মনে করেন বাজারে একটি নতুন কোম্পানি এসেছে এখন তাদের বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন। যেমন ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বিজ্ঞাপন কপিরাইটিং, কনটেন্ট ফটোগ্রাফস ইত্যাদি।
এসব কাজের জন্য যদি তারা শুরুতেই অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে দেয় তাহলে তাদের বাজেটে সমস্যা দেখা দিবে এটাই স্বাভাবিক।
এজন্য যদি তারা কোন এক্সপার্টকে চুক্তি ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে কাজ করাতে পারে তবে সেটা অনেক সাশ্রয়ী হতে পারে।
অনলাইন কাজে যারা এক্সপার্ট তারা চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কাজগুলো করে থাকেন।
তবে এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে কোম্পানির এমপ্লয় খুঁজতে হচ্ছে না কিংবা কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়াই প্রতিমাসে কাজ করানো যাচ্ছে।
এমনকি ফ্রিল্যান্সার রাও তাদের এই কাজগুলো ঘরে বসে যেকোনো সময় করতে পারছে। এবং তাদের দক্ষতার জন্য কাজের অভাব হচ্ছে না।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তো আমি কিছু জানি না। তাহলে আমি কিভাবে কাজ করবো?
সবাই সব কিছু এমনিতেই পারে না। পারতে হলে আগে শিখতে হবে। সবাই কোন না কোন সময় কাজ শিখেছিল বলেই আজ তারা সে কাজটি করতে পারছে, এবং টাকা উপার্জন করতে পারছে।
আজ যদি আপনি শিখেন তাহলে কাল আপনিও সেই কাজ করতে পারবেন।
এজন্য আপনার মনে এখন প্রশ্ন হওয়া উচিত যে, আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে শিখব? কিভাবে কাজ শিখলে আমি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারব?
ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিভাবে?
ফ্রিল্যান্সিং যদি আপনি শিখতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে-
- প্রথমতঃ আপনাকে পছন্দের কাজটি নির্ধারণ করতে হবে।
- দ্বিতীয়তঃ সেই কাজে নিজেকে এক্সপার্ট করে তুলতে হবে এবং,
- তৃতীয়তঃ আপনাকে ক্লায়েন্ট ডিলিং করা শিখতে হবে।
তো বন্ধুরা এবার আসুন, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
১. ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য কাজ নির্ধারণ।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সময় প্রথম পর্যায়েই অনেকে একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আয়ত্ত করার চেষ্টা করেন। যার ফলে পরবর্তীতে হাঁপিয়ে যান। এমনকি ফ্রিল্যান্সিং আর শেখা হয়ে ওঠেনা।
তাদের জন্য বলছি নির্ধারিত কাজের প্রতি আগে অভিজ্ঞ হয়ে উঠুন। সব কাজ একসঙ্গে শিখতে চাইলে তখন দেখা যাবে কোন কাজই শিখা হবেনা।
প্রথমে, আপনাকে নির্দিষ্ট একটা কাজে মনোযোগী হতে হবে। তারপর যখন আপনার সে কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেখা হয়ে যাবে তখন অন্য আরেকটা কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পারবেন।
২. ফ্রিল্যান্সিং এর উপর ট্রেনিং / কোর্স।
কাজের শুরুতে বিষয়বস্তু কি হবে, সেটি ঠিক করার পর প্রকৃত কাজ হচ্ছে সেই বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা।
দু”রকম ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স অথবা ট্রেনিং করা যায়।
- অনলাইন এবং
- অফলাইন।
অনলাইনে অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে যেখানে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনারদের মাধ্যমে কাজ শিখতে পারবেন।
অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে চাইলে, নিজ ইউনিয়ন পরিষদ, অথবা আশে পাশের গ্রামে অনেক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ট্রেইনার পাবেন যাদের কাছে আপনি কাজ শিখতে পারবেন।
৩. ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ শুরু করার আগে আপনাকে ইন্টার্নিশিপ করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, ক্লায়েন্ট কখন কি চায়? তার কাজ করার জন্য কোন কোন ইনফরমেশন দরকার হয় ইত্যাদি।
মোবাইল দিয়ে যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন।
প্রথমত ফ্রিল্যান্সিং শিখা হচ্ছে এক জিনিস আর ফ্রিল্যান্সিং জানা হচ্ছে অন্য জিনিস।
আপনি মোবাইল এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিন্তু শিখতে গেলে অনেক কঠিন হয়ে পরবে। কেননা, এমন অনেক রয়েছে যা মোবাইলে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
আবার কিছু কাজ রয়েছে যা, যেকোন স্মার্ট ফোন দিয়েই করতে পারবেন।
উদাহরণসরুপঃ কন্টেন্ট রাইটিং। এখানে মুলত আপনাকে টাইপিং জানতে হবে এবং ইংরেজি তে দক্ষ থাকতে হবে। এ কাজটি আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি, বিভিন্ন ওয়েব ডিজাইন এর মতো কাজ করতে চান। সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন না। তখন আপনার কম্পিউটার এর প্রয়োজন হবে।
আর এজন্য, আপনাকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কোন ধরনের কাজ করতে চান।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজ গুলো করা যায়, সে কাজ যদি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি মোবাইল দিয়েই শিখতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কে নিজের জিবনের মুল পেশা হিসেবে নিতে চান। তাহলে, একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে আপনার জন্য সুবিধা হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে যা প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করার সুবিধা। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে চান তাহলে, অবশ্যই আপনার মাঝে কিছু বিষয় থাকতে হবে। যেমন;
* ধৈর্যধারণ করাঃ কাজ শিখতে হলে, প্রথমে আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। হাল ছাড়া যাবেনা। ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে।
তবেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
* ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট গুলো ঘুরে দেখতে হবেঃ
ইন্টারনেটে অনেক গুলো ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট রয়েছে। সেগুলো যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে ভিজিট করে দেখেন তাহলে,
আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং কোন কাজ করলে আপনি ও সফলতা লাভ করতে পারবেন।
* সঠিক কাজ বাছাই করাঃ আপনাকে এমন একটি কাজ বাছাই করতে হবে যে, কাজ করতে গিয়ে যেন আপনি বিরক্তিবোধ না করতে পারেন। মনের আনন্দের সাথে যাতে কাজ করে সফল হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং যেখানে শিখবেন
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে, আপনাকে অবশ্যই প্রথমে জানতে হবে যে, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শেখা যায়।
১. ফ্রি কোর্স করুনঃ বর্তমানে অনলাইনে যতগুলা সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের বেশিরভাগই কিন্তু প্রথমে ফ্রি কোর্স দিয়ে শুরু করেছিলেন। চাইলে, আপনিও এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
২. ইউটিউব চ্যানেল ফলো করতে পারেনঃ ফ্রিল্যান্সিং করা যাই এমন অনেক কাজ রয়েছে যা, আপনি চাইলে ইউটিউব থেকেও শিখে নিতে পারেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদেরই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।
সেখানে তারা ধারাবাহিকভাবে কাজের ভিডিও আপলোড করে থাকেন আপনি চাইলে সেখান থেকেও শিখে নিতে পারবেন।
৩. অনলাইন পেইড কোর্স করতে পারেনঃ আপনি চাইলে প্রথম থেকেই, টাকা দিয়ে কোর্স করতে পারবেন। বর্তমানে দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কাজ শেখায় অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ;
1. Coursera.
2. Udemy.
3. Edx.
4. Masterclass.
5. Skillshare.
6. Linkedln Learning.
7. Repto BD.
8. LEDP.
এগুলো ছাড়াও ফেসবুকে এমন কয়েকটি পেজ রয়েছে, যারা খুবই অল্প টাকা দিয়ে কাজ শেখায়। তবে, সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে আপনাকে।
আপনাকে এজন্যই সাবধান হতে হবে যাতে আপনি কখনো প্রতারণার ফাদে পা না দেন। তাই আপনি যখন টাকা দিবেন তার আগে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
আপনি চাইলে, আশেপাশের ভালো কোন কোচিং সেন্টার থেকেও কাজ শিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দরকার?
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে যা দরকার তা হচ্ছে – স্কিল, কম্পিউটার, এবং ইন্টারনেট কানেকশন।
তাছাড়া,আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা পেতে চান তাহলে, সফট স্কিল যেমন; কমিউনিকেশন, সিদ্ধান্ত গ্রহন করা, ধৈর্য ধারন করা,এবং ইনফ্লুয়েন্স করার ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় গুলো ও অনেক গুরুত্বপুর্ণ।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো হচ্ছে ;
★ আর্টিকেল রাইটিং।
★ এসইও।
★ ট্রান্সলেট।
★ অ্যাপ ডেভেলপ মেন্ট।
★ মার্কেটিং।
★ ছবি এডিটিং।
★ ভিডিও ইডিটিং।
★ এনিমেশন তৈরী।
★ প্রুফ রাইটিং।
★ কপি রাইটিং ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যে, আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তাহলে আমার মত ব্লগ অথবা আর্টিকেল লিখতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি যদি এম.এস ওয়ার্ড, এম. এস এক্সেল এর কাজ জেনে থাকেন তাহলে সেটি ও করতে পারেন।
আর যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং পারেন তাহলে, ওয়েবসাইট ক্লায়েন্টের লোগো ডিজাইন এর কাজ করে দিতে পারবেন। যদি কোডিং পারেন তবে, ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি?
ফ্রিল্যান্সিং এ অনেকগুলো কাজ রয়েছে যে, কাজের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। যেমন;
১। অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে।
২। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
৩। কনটেন্ট রাইটিং এবং,
৪। গ্রাফিক্স ডিজাইন।
এছাড়া অন্য সব কাজগুলো ও বেশি একটা পিছিয়ে নেই। আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনার নিজের কাজ ও দক্ষতার উপর বেশি জোর দিতে হবে। এবং আপনি যাতে নিজেকে টপ রেনকে নিয়ে যেতে পারেন সে চেষ্টা করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তা তো জেনে গেছেন। এবার আপনার স্কিল গড়ে ওঠার পর যদি আপনি নিজেকে প্রস্তুত মনে করেন তাহলে, আপনি ইন্টার্নশিপ থেকে বেরিয়ে এসে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন ।
এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটু সতর্ক থাকতে হবে, কারণ আপনার যে কোন ভুল পদক্ষেপ আপনার অ্যাকাউন্টে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
আপনি চাইলে নিচে দেওয়া পয়েন্ট গুলো অনুসরন করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।
★ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে নিজের একাউন্ট তৈরী করুন।
এমন অনেক মানুষ আছে যারা কাজ শিখার পর শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে তারপর একাউন্ট তৈরী করেন। যার ফলে কাজ জানা থাকা সত্বে ও কাজের জন্য বসে থাকেন।
এজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে আপনার যখন কাজের প্রতি কোন রকম ধারনা হয়ে যাবে তখন, একটি বা দুটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ নিজের একাউন্ট তৈরী করে খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে গিগ প্রকাশ করবেন।
প্রতি দিন খুব সল্প সময় হলে ও একটিভ থাকার জন্য চেষ্টা করবেন। আপনার এই একটিভ থাকার ফলে অল্প পরিমান হলে ও গিগ টি উপরে ওঠে আসতে শুরু করবে।
★ ১ম বার অর্ডার এর জন্য অপেক্ষা করবেন।
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে একাউন্ট তৈরি অথবা গিগ প্রকাশের সাথে সাথেই আপনি কাজের অর্ডার পেয়ে যাবেন। তাহলে, আপনি ভুল ভাবছেন।
আপনাকে ধৈর্য সহকারে অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কখনো হতাস হবেন না, এবং হতাস হয়ে অনলাইনে থাকা বন্ধ করে দিবেন না।
আপনি যখন গিগ প্রকাশ করবেন তখন, অন্য দের তুলনায় চার্জ টা সবসময় কম রাখবেন। কিন্তু আবার বেশি কম রাখা যাবে না। তাহলে আপনার স্কিল এর উপর সন্দেহ হতে পারে।
★ সঠিক সময়ে ডেলিভারী দিবেন।
ক্লায়েন্ট রা অধিকাংশ সময়ই ইউরোপিয়ান হয়ে থাকেন। তাদের কাছে কিন্তু সময়ের মূল্য সত্যিকার অর্থে সব সময় ই বেশি।
গিগ প্রকাশ করতে আপনার যেটুকু সময় লাগবে, তার চেয়ে একটু বেশি সময় নিয়ে রাখবেন। তবে আপনি যেদিন ডেলিভারী দিতে চেয়েছেন, সে দিন কিন্তু কোনভাবেই মিস করা চলবেনা।
★ রেটিং চেয়ে নিবেন।
ক্লায়েন্ট রা যখন খুশি হোন তখন তারা এমনিতেই রেটিং দিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় আবার ব্যস্ততার জন্য দিতে ভুলে যান।
এরকমটা হলে তাদের অনুরোধ করেন যেন রেটিং দিয়ে দেন। কেননা, ক্লায়েন্ট রেটিং ই হচ্ছে অন্যান্য ক্লায়েন্ট থেকে কাজ পাওয়ার মুল চালিকাশক্তি।
আপনি যদি ভালো রেটিং পেতে থাকেন তাহলে, আপনার কাজের মূল্য বৃদ্ধি পাবে সেইসাথে চাহিদা ও বাড়বে।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট তালিকা তৈরি
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্ট এর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এবং জব পেতে বিড করেন। অপরদিকে, ক্লায়েন্টরা তার কাজ করানোর জন্য সঠিক ফ্রিল্যান্সার খুঁজে পান।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো রিমোট জব করা এবং করানোর জন্য একটি মিডিয়া হিসেবে কাজ করে থাকেন।
সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট সমুহঃ
1. Freelancer.com.
2. Upwork.com.
3. Fiverr.com.
4. Guru.com.
5. Microworkers.com.
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইট সমুহঃ
1.Belancer.com.
2. shocchol.com.
3. dealancer.com.
ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে পাবেন?
১. অনলাইনে থাকতে হবে;
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে। সফল ফ্রিল্যান্সাররা রাতের পর রাত জেগে অনলাইনে বসে থাকেন শুধুমাত্র কাজের অর্ডার পাবার জন্য।
২. রেটিং নিয়ে নিন।
যাদের রেটিং শূন্য তাদেরকে কাজ এর অর্ডার দিতে চাননা ফ্রিল্যান্সার রা। তখন ফেইক অর্ডার করতে হয়।
৩. বিড করুন।
নতুন করে যদি রিলেভেন্ট জব পোস্ট হয় তাহলে, প্রপোজাল পাঠাতে পারেন। আপনার রেটিং যদি কম থাকে তবে, বেশি দাম এবং সময় চাওয়া যাবেনা।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রথমে আপনি বেশি কাজের জন্য অনেক কম পেমেন্ট পাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে, কম কাজের জন্য বেশি পেমেন্ট পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে পাবেন?
এটি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার দের কাছে অনেক বড় একটি সমস্যা।
অনেক সাইট রয়েছে যাতে, ব্যাংক মেথড রয়েছে। বর্তমানে পেওনিয়ার বাংলাদেশে ও রয়েছে।
অনেক সাইটে আবার পেপাল এর পাশাপাশি পেওনিয়ার ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার কেউ ক্রেডিট কার্ড/ ডেবিট কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। যে কারনে প্রতি মাসে কিছু চার্জ দিতে হয়।
তাছাড়া, বর্তমানে অনেকগুলো অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস রয়েছে। তাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট একাউন্ট এর ডলার বিক্রয় করে টাকা নেয়।
আবার, কেউ কেউ USA লোকেশন দেওয়া ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট ক্রয় করে ব্যবহার করা শুরু করেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর সুবিধাঃ
১। আপনি আপনার নিজ ইচ্ছা মতো কাজ করার সুযোগ পাবেন। আপনি যেখানে সেখানে বসে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যেমন – তেমন পোশাকে কাজ করতে পারবেন। আপনাকে ইন্টারফেয়ার করতে আসবেনা কেউ। অর্থাৎ আপনি নিজেই আপনার “বস”।
২। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি আপনার কাজের জন্য যে টাকা উপার্জন করবেন সমস্ত টাকাই আপনার। এখানে আপনাকে কারো সাথে টাকা শেয়ার করতে হবে না।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর অসুবিধাঃ
১। অনেকের কাছে নিজেই নিজের বস হওয়া অনেক কঠিন একটা বিষয় হয়ে উঠে। কারন, যেখানে আপনার পুরোনো বস ছিলেন যিনি সবসময় আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ টাকা রাখতেন, এখন সে দায়িত্ব শুধুমাত্র আপনার।
আপনি যদি কাজ না পান তাহলে প্রতি মাসে আপনার একাউন্টে টাকা আর আসবে না।
২। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে, আপনার বসের আগামী দিনের কাজ গুলো খুব চাপযুক্ত বিষয় এবং শীঘ্রই তা প্রস্তুত করতে হবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।
আসলে সে কাজ গুলি আপনাকে বড় বড় ক্লায়েন্ট দের কাছে নিজের ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রস্তাব উপস্থাপন এর জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ সুবিধা যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি কিছু অসুবিা ও রয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবিধা গুলোই সবসময় জয় লাভ করে থাকে।
শেষ কথাঃ
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তা তো জেনেই গেছেন অলরেডি। এবার এটিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ এর দিকে এগিয়ে যান। দেখবেন সফলতা অবশ্যই আসবে।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না। “ধন্যবাদ”।
আমার এরকম স্বাধীন কাজ ই ভালো লাগে
Really informative and so helpful this video.. so good.
Helpful post
খুব তথ্যবহুল পোস্ট।
Onek valo laglo
So helpful for me
So helpful post for everyone
Yes true
good post
Information post